ল্যাজ কাহিনী

 উচ্চে তোলা পুচ্ছখানি




নিশিগন্ধা। ছোট্ট একটি রাজ্য। সেই রাজ্যের বিশেষত্ব হল ওখানে সবাই কবি। কাব্যচর্চা দৈনন্দিন ও আত্মিক যাপনের একটা অঙ্গ। কিন্তু তাদের শারীরিক বিশেষত্বে একটি অদ্ভুত দিক হল- সেখানের সব মানুষের একটি করে লাঙ্গুল/ল্যাজ। এবং তাদের বিশ্বাস এই লেজই হল তাদের কাব্যপ্রতিভার আসল আধার। দিকে দিকে রাজ্যের কাব্য কুশলার চর্চা হতে শুরু করল। অনেকে এই বিদ্য গোপনেে বা প্রকাশ্যে রপ্ত করার চেষ্টা যে করেন নি এমন নয়, কিন্তু সেই রীতি সেই হৃদয়স্পর্শী হত না। একটা সময় বহির্রাজ্যগুলির অনুরোধ ও মেধার পরম্পরা অনুসারে সুকৌশলে কাব্যশিক্ষার প্রচলন করতে বাধ্য হলেন। রাজ্যে শুরু হল প্রথাগত ভাবে কাব্য রচনার কৌশল সেখানোর ইসকুল কলেজ...  

     সবই সুন্দর চলছিল কিন্তু আচমকায় রাজ্য জুড়ে নেমে এলো এক অদ্ভুতুড়ে সংক্রামক ব্যাধি। প্রত্যেকেই প্রকৃতি বিমুখ হতে শুরু করল। পাখি গান গায় কিন্তু তারা কানে শুনলে হৃদয় আকুল হয় না কিম্বা বৃষ্টি নামে কিন্তু তার সৌন্দর্যময় আনন্দ তাদের আর আলোড়িত করে না। একটা আশ্চর্য রকমের মানসিক অস্থিরতা ও বৈকল্য যখন ধিরে ধীরে গ্রাস করছে তখনই এই রোগের আসল বহিঃপ্রকাশ ঘটল। একে একে খসে পড়তে থাকল তাদের পরম অহংকারের পৈত্রিক ল্যাজ। এবার তারা বুঝতে পারছিল কি অন্ধকার তাদের চিবিয়ে খেতে উদ্যত! তাদের অস্ত্বিত্ব নিয়ে তারা সন্দিহান হয়ে উঠল আচানক। যাদের ল্যাজ খসে গ্যালো তারা সেটা প্রকাশ করল না। চুপচাপ চেপে গ্যালো, পরিবর্তে ততধিক সুন্দর কৃত্রিম ল্যাজ লাগিয়ে সেটাকেই হারানো অঙ্গের আদলে মেনে নিয়ে সাফল্য হিসেবে গ্রহণ করল। কিন্তু এই সাফল্য উদযাপন দিনে দিনে পরিবর্তীত হয়ে আস্ফালনের রূপ নিয়েছিল কিনা সেটা পাঠক ভাবুন। তবে এটা ক্রমেই প্রমানিত হচ্ছিল যে 'লেজই তাদের কাব্যকৃতির মূল সোপান।' তবে এই ঝুটো লেজের পরিকল্পনা আচমকা নয় এই পরিকল্পনা বুদ্রুর। এই বুদ্রুই হল ঝুটো লেজ বিপ্লবের পথিকৃত। যাই হোক সে গল্পে পরে আসছি।

        তারা যত দ্রুত প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সান্নিধ্য থেকে দূরে সরে আসছিল তারচেয়েও ঢের দ্রুত তাদের কবিসত্তায় থাবা বসাচ্ছিল বানাওয়াটি শিল্প। আদলে কবি হয়ে রইল ঠিকই কিন্তু আদতে কবি রইল না। কারণ লেজ নেই তাই কৃত্রিম লেজের প্রয়োজনের প্রভাবই হয়তো কবিতাতেও বাসা নিচ্ছিল একটু একটু করে। বিশ্বাস বড় বিষম বস্তু। দিকে দিকে কবিতার ঘনঘটা উদযাপন হচ্ছিল মহাড়ম্বরে। কবিতা চর্চা কেন্দ্র গড়ে উঠল আনাচে কানাচে। প্রত্যেকে প্রমান করতে ব্যস্ত কে কত দিগ্গজ কবি। সভা সমিতি পুরস্কারের লোভ এমন কি রাজসান্নিধ্যও এর বাইরে থাকল না। গ্রামে গ্রামে মহল্লায় মহল্লায় হতে লাগল কবি সম্মেলনের নামে এক অদ্ভুত অর্বাচীন আস্ফালন। সেই নৈঃসঙ্গ হারিয়ে গ্যালো, নিরবতা ক্ষয় হতে হতে মুষলপর্বের কড়াই-শেষ ধাতু কণাতে রূপান্তরিত হয়েছিল। নিমগ্নতা নেই বৌদ্ধিক চর্চা নেই, বিকাশ নেই। ভাবের অবগাহন নেই, এমন কি আত্মোপলব্ধি পর্যন্তও ম্যাজিকের মত হারিয়ে যাচ্ছিল। ছিল বলতে একটা কবিত্বের মৃত খোলস আর শব্দের জাগলিং-র সুচারু  চালাকি। সবাই মেনে নিচ্ছিল এই ভেবে যে এও হয়তো কোনও নবজাগরণ। কাব্যের ভাষা পাল্টাচ্ছে ফর্ম পাল্টাচ্ছে নতুনের জোয়ার সব প্লাবিত করে নবপলিতে জন্মাবে নতুন কোনও পুষ্পে পত্রে সুসজ্জিত ছায়াঘন সুদর্শন বৃক্ষ!

                   এই নিশিগন্ধায় নিঃশব্দে, নীরবে, সংকোচে বেড়ে উঠছিল এক অদ্ভুত শিশু— বুদ্রু। জন্ম থেকেই সে-ই নিশিগন্ধা রাজ্যে একমাত্র ব্যক্তি যার কোনও লেজ নেই। এ বড্ড লজ্জার, আত্মসম্ভ্রমের। বৈদ্যমশাই বললেন, “এ এক অতি বিরল জেনেটিক বিচ্যুতি।” আর কবি পাড়ার লোকেরা বলত, “এ তো জন্মেই অকবি!” বুদ্রুর মা ফাঁকরা দাঁতে হেসে বলত, “তুই না হয় পেছনের গুপ্ত শক্তিতে ভরসা না রেখে সম্মুখ বিদ্যায় বিশ্বাস রাখ, যা পৃথিবী থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সেই আত্মোপলব্ধিকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে। এখন তো মুখ্য থেকে গৌণতার গুরুত্ব বেশি। কবিতার জন্য ল্যাজের প্রয়োজন নেই, তবে কাব্যচর্চার ফলে কারুর কারুর ল্যাজ গজিয়ে উঠত কোনও এক সময় অথচ সে সময় এই ল্যাজ ছিল লজ্জার, অমানবতার কিন্তু এখন তো ল্যাজ দেখে কবি নির্ণয় হয়। গৌণ প্রধান হয়ে উঠলে সমাজ বদলের সময় আসে। আর সমাজ বদলের জন্য কেউ কেউ জন্মায়, মানুষ তাদেরই কবি বলে মনে রাখে। সকলকে নয়। কিন্তু দুঃখের এটাই যে এই নিশিগন্ধায় কবিতা আসে পেছন থেকেই। হৃদয়, বিবেক কিম্বা উপলব্ধি নাকি উচ্চারণের খোলসমাত্র! আসল কাব্য উদ্গত হয় এই ল্যাজ থেকেই। কেউ কেউ বলে, ল্যাজের রোমে রোমে শব্দ বাস করে। আবার কেউ বলে, কল্পনা আসে মেরুদণ্ড বেয়ে, তারপর ল্যাজের ডগায় এসে কবিতার কেতন গেঁথে দেয়।

বুদ্রুরও কবিতার প্রতি একটা অমোঘ টান। আর সেই টানেই সে একটি ঝুটো ল্যাজটা লাগিয়ে কখনও সখনও টুক্কুস করে পৌঁছে যায় রত্ন খচিত আলো ঝলমল কয়েকটি কবিতা উৎসবে। কত ঝিলির-মিলির আলো, কত কবি আর কত না রং-বেরং-র বাহারি ল্যাজ! বদ্রু সে সব আশ্চর্য হয়ে দ্যাখে। সে দ্যাখে সকলে রামগড়ুরের ছানার মত মুখ করে জ্ঞানগব্বের হালি হালি ভাষণ দিচ্ছে তো কেউ তার সাধের ল্যাজটি অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সাবধানে গুছিয়ে নিচ্ছে। সব আছে সেখানে, আড়ম্বরের সমারোহ আছে, ল্যাজের বাহার আছে, জ্ঞানগব্ব ভাব আছে আছে আত্মপরিচিতির অনন্য শৈলিও, সব। কিন্তু বুদ্রু কোথাও কবিতা খুঁজে পায় না। সকলে একে একে কবিতা পাঠ করছে আবার সকলে সমান্তরাল ভাবে গল্প ও কুশল বিনিময়ও চালিয়ে যাচ্ছে। দুটো একসাথে কি ভাবে যে হয়, বুদ্রুর ঠাহর হয় না। যে পাঠ করছে সে মনে মনে এমন একটা আত্মশ্লাঘা নিয়ে পাঠ করছে যে "দ্যাখ ক্যামোন ফাটিয়ে দিচ্ছি" কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল সে সব কেউ শুনছে না, অথচ এখানে সকলেই কবি। যিনি পাঠ করছিলেন তিনি মঞ্চ থেকে নেমে এসেই একই রকম গতানুগতিকতার স্রোতে বয়ে গেলেন। পাশের জনের সাথে মেতে উঠলেন কবির সমালোচনায়। কবিতার নয়। বুদ্রুর এই সব ভৈরঙ্গী দেখতে দেখতে মনটা তেতো হয়ে Xbox, ভালো লাগছিল না আর, কিন্তু বেরিয়ে আসতে গিয়ে বাধল এক কাণ্ড, ঁঅসাবধানতা বশতঃ জনৈক স্বনামধন্য কবির পুষ্প-খচিত পুচ্ছে পা পড়তেই কবি কঁকিয়ে উঠলেন! অত্যন্ত বিরক্তি মিশ্রিত স্বোপম মুখ নিয়ে বুদ্রুর দিকে তাকিয়ে শাখামৃগের মত খিঁচিয়ে উঠে বললে -- দেখতে পাস নে নাকি? এই রকম অনন্য পরিপুষ্ট ল্যাজ এ রাজ্যে কারুর আছে! বলেই তিনি তাঁর ল্যাজের মাহাত্ম্য কীর্তন শোনাতে লাগলেন। বুদ্রুর অবস্থা তখন-- "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি"। কিন্তু কবিবর নাছোড়বান্দা। তিনি যতই তাঁর ল্যাজের গরিমা উচ্চে তুলে পুচ্ছ নাড়েন বুদ্রুও ততোধিক ঘাবড়ে গিয়ে আমতা আমতা করে বলে-- ইয়ে, না মানে আমি কবিতা শুনতে এসেছিলুম ল্যাজ তো লক্ষ্য করা হয়নি!

কবিবর বললেন -- সেকি! কবিতা শুনলে হবে! ল্যাজই তো আসল, কবিসত্তার প্রকৃত পরিচায়ক আর তুমি কিনা ল্যাজই দেখলে না! তবে তুমি এখানে ক্যানো বাপু? 

     বুদ্রু বুঝে গ্যালো সব ঘেঁটে-৫ হওয়ার আগেই কেটে পড়াই শ্রেয়। তারপর থেকে বুদ্রুর ইচ্ছে করলেও আর পাশাপাশি যাওয়ার সাহস কুড়োতে পারেনি।


        এই ভাবেই বুদ্রু ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছি। অতি সন্তর্পণে, সে দেখত তার বন্ধুরা ল্যাজ নেড়ে নেড়ে কবিতা পড়ে। কেউ ল্যাজ পাকিয়ে হাইকু লেখে আকাশে, কেউ আবার লেজকে তুলির মত ব্যবহার করে, কালি না ছুঁয়েই পাতায় কবিতা এঁকে দেয়।

           তার ভারি অবাক লাগত, ধাঁধা লেগে যেত। মুগ্ধ চোখে দেখত আর ভাবত-- আহা যদি একপিস এরকম সুদর্শন লেজ তারও থাকত তাহলে নিশিগন্ধার মানুষ তার লেখা কবিতাগুলিকেও মর্যাদা দিত।  বুদ্রু কবিতাগুলি এদের চেয়ে মন্দ তো নয় বরং শতগুণে ভালোই মনে হয়। কিন্তু বাধ একটাই, তার লেজ নেই তাই তার লেখাগুলিও কবিতাই নয়! সে অনেক ভেবেচিন্তে ছোটবেলার সেই ঝুটো লেজ বানিয়ে কবি সভায় ঢুকে পড়ার কথাটা মনে পড়ল, আর যেই মনে পড়া অমনি তার মাথায় টিং করে জ্বলে উঠল একটি বুদ্ধির তীক্ষ্ণ বাতি। দেরি না করে কাঠ, ছেঁড়া কাপড়, ও খড় দিয়ে একটা "ঝুটো লেজ" বানিয়ে ফেলল। তার শরীর সাজিয়ে তুলল নানান সব প্রসাধনী সামগ্রী দিয়ে। হয়ে উঠল এক অনন্য ও দৃষ্টি নন্দন লাঙ্গুর। আহা!  বুদ্রু নিজের মনেই বলে উঠল। কিন্তু গাঁয়ে গঞ্জে হাটে বাজারে এই বিচিত্র কাণ্ড দেখে সবাই অবাক য্যামোন হচ্ছিল তারচেয়ে বেশি বুদ্রু হয়ে উঠছিল হাস্যাস্পদ ও বিচিত্র এক নমূনার দৃষ্টান্ত। বুদ্রু সবটা বুঝতে পারলেও তার কাছে তখন সেটা গৌণ মনে হচ্ছিল, কারণ এই লেজের প্রভাবেই হোক বা কবিতার প্রভাবেই তার কবিতা মানুষ শুনছে, কেউ কেউ লেজের প্রকৃতি না বুঝতে পেরেই হয়তো কোনও কবিতা শুনে উচ্ছ্বসিত কোনও কবিতা শুনে হৃদয়স্পর্শী কিম্বা রাগে বিপ্লবী হয়ে উঠত।  

        কিন্তু তারও আগে, রাজ্যে নেমে এসেছিল সেই ভয়ানক ব্যাধি—প্রকৃতিবিমুখতা। একদিন রাজবাগানের গাছেরা হঠাৎ করে ফিসফিস বন্ধ করে দিল। চড়ুই পাখির গান হল ‘মিউট’। নদী কেবল বয়ে যায়, গান গায় না। কবিরা অস্থির হয়ে উঠল। আর ঠিক তখনই ঘটতে শুরু করল লেজঝরা বিপ্লব।


প্রথমে রাজ্যের কবিতাচক্রের সভাপতি, মহাকবি চুপড়ু—যিনি তাঁর দাড়িতে পাখি বসার কবিতা লিখেছিলেন—তাঁর লেজ এক সকালে উঠে দেখলেন খাটের পাশে পড়ে আছে। তিনি সেটি দেখেই অজ্ঞান। পরের সপ্তাহে দেখা গেল, রাজ্যের কাব্যকর্মাধ্যক্ষার লেজও নেই, তিনি চুপিচুপি ধোপার কাছে একটা "নকল লেজ" বানিয়ে নিয়েছেন। তাঁর লেজ ছিল সাদা কাশফুলের মত—তিনি সেটির জায়গায় একটা তুলো জড়ানো বাঁশির লেজ বাঁধলেন।


ক্রমে দেখা গেল, অধিকাংশ কবির লেজ নেই, কিন্তু তারা কেউই এটা স্বীকার করছে না। বরং প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে: “কার লেজ বেশি চকচকে? কার লেজে এলইডি লাগানো?” কেউ কেউ লেজের ডগায় চন্দনঘষা দিচ্ছে, কেউ কবিতার লাইনের মত করে ব্রেইড করছে।

এদিকে বুদ্রু, যার আসলেই লেজ ছিল না, সে এখন দিনে দিনে হয়ে উঠছে সবচেয়ে বেশি স্বাভাবিক ও জনপ্রিয়। কারণ তার অনুসারির সংখ্যাই অধিক। কারণ এই লেজ ঝরে গেলেও ঝুটো লেজ বাহকের সেই মানসিকতা ঝরে গ্যালো না। তারা কবিতার চেয়ে সেই ঝুটো লেজের পরিচর্যায় বেশি মেতে উঠল। আজকাল আর বুদ্রু ঝুটো লেজ ব্যবহার করে না। আর মনের মধ্যে বাসা বাঁধতে থাকা শব্দগুলোকে ধীরে ধীরে পাখির পালকের মত উড়িয়ে দেয় আকাশে।


তার এক কবিতা একদিন রাজসভায় পাঠ করা হল—


“একবার এক লেজ ছিল,

যার ডগায় ঝুলত বিশ্বাস।

এখন বিশ্বাস আর নেই,

আছে শুধু ডগা।”


সবাই হেসে উঠল—ভাবল, আহা, ব্যঙ্গ ব্যঙ্গ...

কিন্তু রাজা... চুপ।

সেদিন থেকেই রাজসভায় সব লেজ ঢেকে আসা বাধ্যতামূলক হল। কেউ বলল—“এই তো নবজাগরণ!”

কেউ কেউ ভাবল—“এ তো বিপ্লব!”

আর কিছু লেজ-হারানো কবি চুপচাপ লেজ ফেলে ধানক্ষেতে নেমে পড়ল। হয়তো তারা প্রকৃতিকে আবার চিনতে চাইছিল।

এক ঝুম বৃষ্টির দিনে, বুদ্রু নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাবছিল তার মায়ে কথা, ফাঁকরা দাঁতের হসিটির কথা আর বদলে যাওয়া রত্ন খচিত নিশিগন্ধার কবিতাগুলোর কথা। তার পেছনে কিছুই নেই। সে শুধু চোখ বন্ধ করে বলে,

“শব্দেরা আজ আর লেজ খোঁজে না, তারা খোঁজে আকাশ।”


সেই মুহূর্তে আকাশে দেখা যায় এক বিশাল, কালো, ল্যাজের মত মেঘ, যা ধীরে ধীরে রামধনুর রঙে চোখে ঝিলমিল লাগিয়ে যাচ্ছে।



Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.